নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন, ধর্ষণ একটি খারাপ ও ঘৃর্নিত কাজ। যারা এর সাথে জড়িত তারা পশুতুল্য। ধর্ষকদের কোন জাতি ধর্ম নেই এরা সমাজের সবচেয়ে নিকৃস্ট একটি প্রানী তুল্য। নারী ধর্ষক ও নির্যাতনদেরকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো,তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে আইন সংশোধন করা হয়েছে।যারা নারী ধর্ষক নারী নির্যাতন কারী তাদের নিস্তার নাই। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে নারী পুরুষ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।আজকের এই সমাবেশের মাধ্যমে আমরা দেশবাসীকে জানান দিতে চাই যে আমরা নারীবান্ধব,নারীদের প্রতি সহনশীল।নারীদের সুরক্ষা প্রদানে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন উত্তর বিভাগের কাউনিয়া থানাধীন আছমত মাস্টার (বালক) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, বর্তমানে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত আধুনিক রাষ্ট্রে পরিনত করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এখন থেকে আপনাদের পুলিশের কাছে যেতে হবেনা। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাংক্ষিত সেবা পৌঁছে দেবে। পুলিশ জনতার পুলিশ হতে কাজ করছে। আমরা বৃটিশ বা পাকিস্তানি পুলিশ নই। আমরা বাংলাদেশের জনগনের পুলিশ। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার দেশের পুলিশ।
উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন,আই এমএফ এর তথ্যমতে মহামারি করোনা কালে সারা পৃথিবী আজ অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়লেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নের্তৃত্বে আমরা সারা পৃথীবীর মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ২য় স্থান অর্জন করবো। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাই সাসাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলবেন।নিয়মিত হাত ধুয়ে মাস্ক পরিধান করে আমাদের করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।আমরা সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।আজকে থেকে আমরা সবাই মিলে কাজ করলে সমাজ নিরাপদ হবে।আপনারা সমাজের সকল প্রকার অপরাধ সম্পর্কে বিট অফিসারকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।আমরা পুলিশ বাহীনী আপনাদের নিরাপত্তা দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিসিসি ৭ নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিসি ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন,তিনি বলেন,সমাজে নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক।নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক ভাবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।ধর্ষকদেরকে সমাজ থেকে বয়কট করতে হবে।সরকারের একার পক্ষে সমাজ থেকে ধর্ষন রোধ করা সম্ভব নয়।আমরা সবাই সচেতন হয়ে সম্মিলিত ভাবে প্রচেষ্টা চালালে ধর্ষন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
বিসিসি ৭ নং ওয়ার্ড ১৭, ১৮ ও ১৯ নং এলাকার বিট অফিসার এসআই নুসরাত জাহান বলেন, কোন অপরাধ যাতে সংঘঠিত না হয় সে জন্য আগে থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।যার মধ্যে স্কুল ভিজিটিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পর্নগ্রাফি আসক্তির বিষয়ে সচেতনতা সৃস্টি করা হয়। এছাড়াও ৯৯৯,ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার,নারী নির্যাতন বিরোধী সেল সহ নারীদের সহায়তার জন্য আরো নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে,যার মাধ্যমে আমরা নারী ভিকটিমকে সাপোর্ট দিয়ে থাকি।নারী ধর্ষনের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।নিজের ঘর থেকেই পরিবর্তন শুরু করতে হবে।আমাদের পরিবার থেকে কেউ যেন ধর্ষক না হয় এবং কেউ যেন ধর্ষনের শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।আজকের এই সমাবেশের মাধ্যমে আমরা সবাইকে সচেতন করে তুলতে চাই।যাতে সমাজে আর কোন নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার না হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিসিসি ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আসলাম, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালেক বিশ্বাস কায়সার, সাবেক কাউন্সিলর নিগার সুলতানা হনুফা, এএসআই মোঃ আঃ হালিম, এএসআই শহিদুল ইসলাম, কনষ্টেবল শাহ আলম প্রমুখ।
Leave a Reply